| ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |১৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি October 11, 2025, 2:58 am
Title :
পূর্বধলায় গনঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা সাবেক নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক জজ মান্নানের সম্পদের খোঁজ পূর্বধলা উপজেলার বিএনপি কর্মী “হেলালী”এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে টাঙ্গাইল-৭ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রিয়ার এডমিরাল মোস্তাফিজুর রহমান বাকেরগঞ্জে ধরাছোঁয়ার বাইরে ভূমিদস্যু আলু রশিদ ( বিএনপির এক নেতার ছত্রছায়ায় চালাচ্ছেন তার অপকর্ম) বাকেরগঞ্জে আদালতের আদেশ অমান্য করে আওয়ামী নেতা রশিদের ঘর নির্মানের চেষ্টা, বাধা দিলে তিনজনকে পিটিয়ে আহত রাজধানীতে ভোরে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে ম্যানহোল ঢাকনা চুরি বরিশালের তরুণ সমাজকর্মী মো: সিফাত ই মঞ্জুর রোমান অর্জন করলেন ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ গাজীপুর জেলা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ নির্বাচন কাশেম সভাপতি রফিক সম্পাদক বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন ডা :শাহারিয়ার মিঞা সাহিদ

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫
  • 51 Time View

স্টাফ রিপোর্টার:ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও দেশের অনেক গুরুত্বপূ র্ণ সরকারি অফিসে ঘুষ দুর্নীতি এখনও বন্ধ হয়নি। ৫ আগস্টের পর অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু এখন সব ঠিকঠাক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের খোদ শীর্ষ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ উঠলেও তার টিকিটি স্পর্শ করার সাহস পায়নি কেউ।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীতুষার মোহন সাধু খাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় থাকার পরেও তি নি বহাল তবিয়তে । শীর্ষ দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সত্ত্বেও সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে তার ঘনিষ্ঠ সহোচর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম নয়।

গুরু শীষ্য মিলেই গিলে খাচ্ছে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর’ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক (প্রধান প্রকৌশলী) তুষার মোহন সাধু খাঁর অলিখিত নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে যোগসাজস করে তারই একান্ত সহোচর প্রকল্পের প্রাক্কলনিক আনোয়ার হোসেন শিকদার নির্বাহী প্রকৌশলীদের জিম্মী করে আসছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক তুষার মোহন সাধু খাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ এবং দুর্নীতিবাজ উপ-সহকারি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমা নের কাজের মধ্যদিয়ে প্রকল্পের শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী।

এসব টাকা লুটপাটের কারণে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয় ওই চিঠিতেআবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন শামিম হোসেন। যার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সেই তুষার মোহন সাধু খাঁ বর্তমানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌ শল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী পিআরএল এ।

এর আগে তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) পদে ছিলেন এবং সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছিলেন। অভি যোগ সূত্রে জানা গেছে, তুষার মোহন সাধু খাঁ রাজধানীর লাল মাটিয়ায় তার ছোট বোনের বাসায় ঘুষের টাকা রাখতেন। পরে ঠিকাদার দিলীপ বাবুর মাধ্যমে হুণ্ডি করে ওই টাকা ভারত এবং আমেরিকায় বসবাস করা তার ছোট ভাই ও কানাডায় বসবাসর ত তার মেয়ের কাছে পাঠাতেন। ঘুষের টাকার বেশিরভাগ তার ছোট বোন ও ভাইয়ের কাছেও পাঠান বলে উল্লেখ করা হয় এই চিঠিতে।

ছোট ভগ্নিপতি মারা যাওয়ার আগে তিনিই হুন্ডি ব্যবসায়িরকাছে ঘুষের টাকা পৌঁছে দিতেন ভারত,আমেরিকা,কানাডা, অস্ট্রেলি য়া,দুবাই ও শ্রীলঙ্কায় তার নামে বেনামে গাড়ি-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রাক্কালনিক আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে আগে ঘুষের টাকা লেনদেন কর লেও পরে সরাসরি নিজেই বিশ্বস্ত ঠিকাদার ও বিভিন্ন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেন করতেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ডিপিপির উপজেলা অনুযায়ী বন্টননামা ১৫০ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টিউবওয়েল স্থাপনের জন্যবরাদ্দ প্রদান করা আছে। শুধু একটি জেলায় সাবেক পিডি তুসার মোহন সাধু খা ১৫ হাজার টিউবওয়েল স্থাপনের কথা রয়েছে।

ডিপিপিতে”বেশিরভাগ উপজেলায় ৪ হাজার,৫ হাজার,৬ হাজা র,৭ হাজার পর্যন্ত টিউবওয়েল বরাদ্দ রয়েছে।ডিপিপিতে যে উপজেলায় পূর্বের প্রকল্পের বেশি কাজ হয়েছে এবং অন্য প্রজেক্ট চলমান আছে সেই উপজেলায় কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যে উপজেলায় পূর্বের প্রকল্পে কম কাজ হয়েছে এবং অন্য প্রজেক্টের চলমান কোনো কাজ নাই সেই উপজেলায় বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, জনসংখ্যার আনুপাতিক হার হিসেবে ডিপিপির রিভাইজড ছাড়াই কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে দেশের সব ইউনিয়নে সমভাবে বন্টন করা হয়েছে।

যেখানে অতীব জরুরি সেখানে বরাদ্দ না দিয়ে যেখানেপ্রয়োজ ন নেই সেখানে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।ডিপিপি অনু যায়ী প্রতি ৬০ জনে ১টি টিউবওয়েল স্থাপন হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের কোনো কোনো জায়গায় ২০ জনে একটি করে টিউবওয়েল পেয়েছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় একটিও নেই। ফলে অবহেলিত এলাকা অবহেলিতই রয়ে গেছে। এ হিসাবে সারাদেশে প্রায় ৬ লাখ টিউবওয়েল স্থাপন করা হলেও জনগণ সার্বিকভাবে উপকৃত হবে না। ৬ লাখ টেন্ডার আহ্বান শেষ করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সমভাবে টেন্ডার আহ্বান করেছে।

ডিপিপিতে যেভাবে প্যাকেজ উল্লেখ ছিল তা ভায়লেট করা হয়েছে এবং তা মনগড়াভাবেই করা হয়েছে। ডিপিপির সাথে সংখ্যা ও প্যাকেজের কোনো মিল নেই। ১০ শতাংশ লেস কাজের সিএসও মাসের পর মাস পড়ে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জেলার বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের টেন্ডার প্রত্রিয়া যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। পিডি নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এসব অনিয়ম করা হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে মাঠ পর্যায়ে সময়মত কাজও বাস্তবায়ন হয়নি।পানির কোয়ালিটি নিয়ে পিডিসহ কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

টিউবওয়েলে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন থাকার পরও ঠিকাদারদের বিল দেয়া হয়েছে। যেখানে ওয়াটার কোয়ালিটি খারাপ সেখানে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ভেসেল টাইপ প্রেসার ফিল্টার ধরা আছে ডিপিপিতে। কিন্তু পিডি তার পূর্ব পরিচিত ও নিজস্ব কোম্পানির নিম্নমানের ১৮ হাজার টাকার ‘আরও ফিল্টার’ ওই সমস্ত খারাপ ওয়াটার কোয়ালিটির জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

ডিপিপিতে পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই ৪৯১টি উপজেলায় ছিল’বেশি রভাগ জেলায় কোনো অগ্রগতি নেই। শুধুমাত্র টেন্ডার আহ্বান করা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনগণ উপকৃত হচ্ছে না। প্রকল্পটির কাজে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে খোদ সরকারি সংস্থা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ (আইএমইডি)। এরমধ্যে নির্মাণ ত্রুটি ঠিকাদারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করার মতো অভিযো গও রয়েছে তুষার মোহন সাধু খাঁর বিরুদ্ধে।

প্রকল্প পরিচালনার অন্যতম নিয়ামক হওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্তসংখ্য ক পিআইসি ও পিএসসি সভা না করা, মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ না দেয়ার মতো দুর্বলতা ও ত্রুটি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় এই অভিযোগে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান,এই প্রকল্প থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করে তুষার মোহন সাধু খাঁ যতো টাকা আয় করেছেন তার চেয়ে বেশি আয় করেছেন সংশ্লিষ্ঠ প্রকৌশলীরা কারণ হিসেবে তিনি বলেন,

‘অধিকাংশ টাকা আনোয়ার হোসেনের হাত দিয়ে এসেছে। মাঠ পর্যায়ে এবং ঠিকাদারদের সাথে স্যার(সাধু খাঁ)এসব নিয়ে কথা বলতেন না দেন-দরবার সব করতেন আনোয়ার হোসেন। কার সাথে কতো চুক্তি এসব থেকে অনেকটাই প্রধান প্রকৌশলীকে অন্ধকারে রাখা হতো। যেখান থেকে টাকা আসতো ২০ লাখ, আনোয়ার হােসেন প্রধান প্রকৌশলীকে বলতেন ৫ লাখে রফাদফা হয়েছে।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ মুঠোফোনে বলেন, ‘এই অভিযোগ সঠিক নয়।’তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ( প্রধান প্রকৌশলী) তুষার মোহন সাধু খাঁর অলিখিত নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে যোগসাজস করেপছ ন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়া,নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কমিশন বাণিজ্য,পারসেন্টেন্স নিয়ে বিল পাশে সহায়তা, চাহিদামত উৎকোচ না পেলে রি-ইস্টিমেট চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশ লীদের হেনস্তাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে অত্র প্রকল্পের প্রাক্কালনিক আনোয়ার হোসেন সিকদারের বিরুদ্ধে।

পৌরসভার বাইরে “সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি” হাতে নেয় ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে, প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে।অত্র প্রকল্পের মেয়া দ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও সরকার এখনও তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। মাঠ পর্যায়ে দরপত্রের চাহিদামত কাজ করতে গিয়ে পানির গভীরতা/ভাল লেয়ার না পাওয়ার কারণ অনেক সময় ঠিকাদারদেরকে দরপত্রের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশী কাজ করতে হয়, প্রয়োজন হয় বেশী মালামালের-নিরাপদ পানি সরবরাহের স্বার্থে।তখন নতুন করে প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীরা প্রকল্প পরিচালক বরাবর প্রেরণ করেন। আর পিডির টেবিলে পাঠানোর আগে তা প্রকল্পের প্রাক্কালনিক আনোয়ার হোসেন শিকদার যাছাই-বাছাই করে থাকেন। সঠিক মনে হলে তিনি সুপারিশ করে পিডির টেবিলে পাঠান চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।

এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আনোয়ার হোসেন শিকদারনির্বাহী প্রকৌশলীদের জিম্মি করে থাকেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান চাহিদামত ঘুষ দাবি করেন। তার কথায় রাজি না হলে নানা অজুহাতে রি-ইস্টমেট কথায় রাজি না হলে নানা অজুহাতে রি-ইস্টমেট নিয়ে আসতে বলে নানামুখী হয়রানি করে থাকেন।

এক পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীরা বাধ্য হয়ে তার চাহিদা পূরণ করেন বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান। অভিযোগ আছে, কোন কোন ক্ষেত্রে এক হাজার ফুট বোরিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে ৭০০ ফুট থেকে ৭৫০ ফুট। উন্নতমানের সাবমার্সিবল পাম্প দেওয়া কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে দেশীয় নিম্নমানের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার পাম্প। এসব নলকূপের পানি ও পাম্প বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষা করার কথা থাকলেও সেখানেও নেওয়া হয়েছে প্রতারণার আশ্রয়।

কয়েকটি ভালো নলকূপের পানি পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। অথচ অনেক নলকূপের পানিতে অতিরিক্ত আয়রণ, লবণাক্ত, আর্সেনিক ও জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে এবং অনেক নলকূপের গভীরতা কম হওয়ায় গ্রীষ্মকালে পানিও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্পেও অনিয়মের অভিযোগপাওয়া গেছে।কাজের বিবরণীর বিওকিউতে ভালো কোম্পানির ট্যাংক দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।দেওয়া হয়েছেনিম্নমানে র পানির ট্যাংক। ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়ে ২০ ভাগ কাজ করা হলেও দেওয়া হয়েছে ৮০ ভাগ বিল। এভাবে প্রাক্কালনিক আনোয়ার হোসেন শিকদার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিত্তের মালিক বনে গেছেন।

অপরদিকে আনোয়ার হোসেন শিকদারের মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বক্তব্য জানতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে যােগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে অধিদপ্তরের পিডি মুক্তাদির, নুর মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে রয়েছে বহাল তবিয়তে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category