মোস্তাফিজ সুমন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
অন্তবর্তী কালীন সরকার ঘোষিত আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন এবং পুরান মিলিয়ে অনেকেই নিজ দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এর মধ্যে অবসর প্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি রিয়ার এডমিরাল মোস্তাফিজুর রহমান অন্যতম।
রিয়ার এডমিরাল মোস্তাফিজুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বানাইল ইউনিয়নের বাদে হালালিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার বাবার নাম মতিউর রহমান মোল্লা (অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা)। মোস্তাফিজুর রহমান ছাত্র জীবন থেকেই গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন, চেষ্টা করতেন নিজের তৌফিক অনুসারে সাহায্য সহযোগিতা করতে এবং ছাত্র জীবন থেকেই তিনি জাতীয়তাবাদী ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছেন যা তার ব্যক্তি এবং চাকরি জীবনেও স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। আর সে কারণে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলেন না তখন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়েছেন।
আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের কাছে একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান (মির্জাপুর–৭ আসনে বিএনপর মনোনায়ন প্রত্যাশী) দলের নির্দেশনা মেনে এগিয়ে চলছেন নিজের মত করে।
তিনি দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, ও নিয়মানুবর্তীতার প্রতি আসক্ত হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি অত্যান্ত নম্র, ভদ্র মেধাসম্পন্ন হওয়ায় প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তার নৈতিকতা প্রদর্শন, বিচক্ষনতা এবং বুদ্ধিমত্তার বিবেচনায় Executive Branch এ নিয়োগ প্রদান করে। কর্মজীবনে তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা, কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক), এরিয়া কমান্ডার (এরিয়া ভিত্তিক) সফলতার সহিত সম্পন্ন করায় তাকে কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ রিয়ার এডমিরাল পদে পদোন্নতি পূর্বক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্বকালীন সময়ে নৌবাহিনীকে আরও দক্ষ ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি ।
পরবর্তীতে, সরকার পরিবর্তনের ফলে ততকালীন সরকারের (আওয়ামী লীগ) জিয়া পরিবারের সাথে গনিষ্ঠতা থাকার কারণ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধমে নৌবাহিনীর প্রধান হতে বঞ্চিত করা হয়।
পরে তাকে লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন তার পেশাগত দক্ষতা ও সাহসিকতা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে পরিচিত লাভ করায় কারণে ততকালীন সরকার উনাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করে।
বিএনপির প্রতি আনুগত্য ও একনিষ্ঠ হওয়ায় দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত পাপ্য হতে বারংবার বঞ্চিত হতে থাকেন তিনি।
ততকালীন শাসনামলে শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন, নজরদারি এবং নানা বঞ্চনা সত্ত্বেও তিনি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন। বিএনপির কর্মকান্ডে বাধা দান, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কারাদন্ডসহ বিভিন্ন প্রতিবাদে সভা সেমিনার করতেন প্রতিনিয়ত। এহেন পরিস্থিতিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমারের উপস্থিতিতে (ভিডিও কল) স্থায়ী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ সম্মুখে দেশের অন্যান্য উচ্চপদস্থ অবসরপ্রাপ্ত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। তার এই যোগদানে দলের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। যার প্রতিফলন হিসেবে জুলাই– আগস্ট আন্দোলন নেতাকর্মীদেরও স্বতস্ফুতি অংশগ্রহণ এবং বিজয় লাভের অংশীদার হয় ।
মির্জাপুর বাসী বিশ্বাস করেন দুঃসময়ের পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেতৃত্বদানে অভিজ্ঞ , আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন এমন একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে রিয়ার এডমিরাল মোস্তাফিজুর রহমানকে মির্জাপুরে সংসদ সদস্য হিসেবে পেলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, জনগণের চাহিদা পূরণ এবং একটি আধুনিক মির্জাপুর গড়ার পথে আরো অগ্রসর হতে পারবে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক আমার সময় কে বলেন আমার বাকিটুকু সময় যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন মির্জাপুরবাসীর সুখে-দুখে কাটিয়ে দিতে চাই এবং তাদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে কাজ করতে চাই প্রতিনিয়ত।