জসিম রানা, ভোলা!!
পটুয়াখালীর বাউফলের ছেলে, আলাউদ্দিন ২০১০সালে বিভিন্ন তদবীরের মাধ্যমে চাকরি নেয় খাদ্য অধিদপ্তরে। শুরু থেকে সে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থেকে চাল পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র ও গোপন ক্যামারায় ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে জানাগেছে, আলাউদ্দিন দৌলতখান উপজেলায় জেলেদেরসহ অন্যন্য সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল চুরি ও পাচারর্কায অব্যাহত রেখেছে, বীরদর্পে বর্তমানে মৎস্য খাতে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্ধ রয়েছে ২২শত টন। প্রতিটি মৎস্য অভিযানের সময় ইউনিয়ন থেকে জেলেদের জন্য সরকারি চাল নিতে আসে চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবগন। তারা আসার আগেই আলাউদ্দিন গুদামের তালা বাহির থেকে বন্ধ করে তার পালিত ২০/২২জন শ্রমিক প্রবেশ করায় গুদামের ভিতর।এসময় আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শ্রমিকরা ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত প্রতিটি বস্তা থেকে বোঙ্গা ও প্লাষ্টিকের পাইপ ব্যবহার করে দুই থেকে আড়াই কেজি চাল বের করে নেয় কৌশলে ।সূত্রে আরো জানাগেছে, এভাবে প্রতিদিন এক থেকে দেড়টন চাল সরিয়ে অন্যত্র মজুত করা হয়। এসময় তাদেরকে বাহির থেকে পাহাড়া দেয় আলাউদ্দিনের একান্ত সহযোগী খাদ্য গুদামের দারোয়ান হারুনার রশিদ । পরে এ চালগুলো কৌশলে সে দেশের বিভিন্ন যায়গায় বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। অন্যদিকে আলাউদ্দিন, সরকারি চাল জাহাজ থেকে গুদামে প্রবেশ করার পর পরই ৫০ কেজির বস্তা থেকে সরিয়ে নেয় ৫/৬ কেজি করে। পরে সে শ্রমিক দিয়ে সে বস্তাগুলো সেলাই করে গুদামের মধ্যে সংরক্ষণ করে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে সে বলে, এগুলো সরকারি ভাবেই কম আসে।অন্যদিকে আলাউদ্দিন, সরকারি নিয়মে কৃষকদেরকে ন্যায্য মূল্য দিয়ে ধান ক্রয়ের কথা থাকলেও সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছে মতো বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা মতো ধান ক্রয় করে।এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা।সূত্রে আরো জানাগেছে, ২০১০ সালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে খাদ্য অধিদপ্তরে চাকুরি নেয় আলাউদ্দিন।বর্তমানে সে বিভিন্ন মহলে বলে বেড়াচ্ছে, আমার হাত অনেক লম্বা।আমার সাথে বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সর্ম্পক রয়েছে।খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজির সাথেও আমার ভালো সম্পর্ক আছে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে অভিযোগ অস্বীকার করেন। আজ এ পযন্তই… আলাউদ্দিনের খাদ্য গুদামের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বাকি তথ্য প্রকাশ করবো আমরা আগামী পর্বে।