নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বিধি ভেঙে পরিবর্তনের ঘটনায় কারণ দর্শাতে বলেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বরিশালের সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। জানা গেছে, ১৮ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চরকাউয়া নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দেন সদর উপজেলা বাস্তুহারা দলের ৪ নং যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন মনিরকে।
তবে স্থানীয় একটি প্রতিপক্ষ মনিরকে আওয়ামী লীগহ কর্মী অভিহিত করে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করালে কোতয়ালী থানা পুলিশ বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে মনিরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। গ্রেফতারকৃতর স্ত্রী দিবা সিকদার বলেন, ১৮ মার্চ আমার স্বামীকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে বোর্ড অনুমতি দেয়। ২৩ এপ্রিল ফেসবুকে দেখি তাকে সড়িয়ে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাখাওয়াত হোসেন মনিরতো বিদ্যালয়ের সভাপতি, তাকে বাদ দিতে হলেতো নোটিশ বা উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। কিন্তু কোন ধরণের নোটিশ এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তাকে বাদ দিয়ে দেখি নতুন সভাপতি অনুমোদন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি চক্রান্তের শিকার। আমার স্বামী বিএনপির আদর্শের মানুষ। তিনি আওয়ামী লীগের দায়ের করা মামলায় কারাভোগ করেছেন। এখন তাকে আওয়ামী লীগ সাজিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ পাওয়ায় তাকে জব্দ করতে এসব করে যাচ্ছে একটি পক্ষ।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মনির একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারগোরে থাকায় আমি বিষয়টি বোর্ডকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। বোর্ড তার স্থানে পূর্ণিমা সরদারকে নতুনভাবে মনোনীত করে সভাপতি করেছে। সভাপতি বদলের বসিয়ে আমি সম্পৃক্ত নই। এসবের সিদ্ধান্ত গ্রহনের এখতিয়ার বোর্ডের।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার (সাখাওয়াত হোসেন মনির) গ্রেফতারের সকল কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলেন। সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষকরাও ছিল। এডহক কমিটি হয় ৬ মাসের জন্য। গ্রেফতারকৃত কবে নাগাদ মুক্তি পান তার নিশ্চয়তা নেই। এমতাবস্থায় বিদ্যালয় পরিচালনার স্বার্থে পরবর্তী মনোনীতকে সভাপতি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সভাপতি বদলে কাউকে নোটিশ বা জানানোর কোন বিধান নেই।