ভোলা প্রতিনিধি। ভোলায় যৌতুক ও পরকীয়ার টানে ২সন্তানের স্ত্রীকে নির্যাতনের পর এক তরফা তালাক দিয়েছে এক পুলিশ সদস্য। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন প্রকার সু-ফল পাননি ভূক্তভোগী স্ত্রী তানিয়া বেগম। ভূক্তভোগী তানিয়া বেগম সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত মোঃ হানিফ মিয়ার ছেলে পুলিশ সদস্য ফরিদ উদ্দিনের (কনস্টেবল নং-৫৯৪)্্এর সাথে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী ৮নং ওয়ার্ডের আবদুল বারেকের মেয়ে তানিয়া আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর উভয়ের দাম্পত্য জীবন কিছু দিন ভালো কাটলেও পরবর্তিতে তানিয়ার বাবা-মার কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে পর বিত্তুলোভী স্বামী ফরিদ উদ্দিন। মেয়ের সুখের জন্য তানিয়ার দিন মজুর বাবা ধার দেনা করে ফরিদকে প্রথম ধাপে যৌতুকের টাকা প্রদান করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ইতোমধ্যে তানিয়া ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় ২টি মেয়ে সন্তান। এর পর তানিয়ার স্বাস্থ্য চেহারা কিছুটা ভাটা পরলে এক সুন্দরী মেয়ের দিকে দৃষ্টি পরে চরিত্রহীন, লম্পট স্বামী ফরিদ উদ্দিনের। এ পরকীয়া নারীকে কেন্দ্র করে তানিয়া ও ফরিদের সংসারে নেমে আসে বিভিন্ন অশান্তি। অন্যদিকে ফরিদ তানিয়ার পরিবারে কাছে ফের মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে, হুমকী দিয়ে বলে টাকা না দিলে আমি তানিয়াকে তালাক দিয়ে পরকীয়া নারীকে বিয়ে করবো। তানিয়ার দিনমজুর বাবা ফরিদের বার-বার এ অন্যায় আবদার মানতে ব্যার্থ হলে স্ত্রী তানিয়ার উপর স্বামী ফরিদ নানা রকম অত্যাচার চালাতে থাকে। এমনকি পাষন্ড ফরিদ তানিয়া ও তার বাচ্চাদের দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করার জন্য, খাবারের সাথে বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগসহ বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। এমতাবস্থায়া অসহায় স্ত্রী তানিয়া স্বামীর মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বিচারের দাবীতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এর পর চতুর স্বামী ফরিদ এ মামলা থেকে বাচার জন্য তানিয়ার সাথে আপোষ মিমাংসা জন্য প্রস্তাব দেয়। পরে স্ত্রী তানিয়া ছোট ছোট দুটি বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে স্বামীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে, তার দায়েরকৃত মামলাটি আদালত থেকে উত্তোলন করে। কিন্তু সহজ সড়ল তানিয়া একবারও বুঝতে পারেনি স্বামী ফরিদের এ নাটকীয় প্রস্তাবটি ছিলো তার জন্য ভিষণ ক্ষতিকার। তানিয়া মামলাটি উত্তোলনের পরপরই ফের পূর্বের ন্যায় জুলুম অত্যাচার নেমে আসে তানিয়ার উপর। এর পর ফরিদ প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলে প্রচার করতে থাকে, তানিয়া একজন মানুষিক ভারসাম্যহীন ও চরিত্রহীন নারী। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, ফরিদ পুলিশ সদস্য বলে তানিয়া ও তার গার্ডজিয়ানদের হুমকী দিয়ে বলতে থাকে আমার হাত অনেক লম্বা। তানিয়া যতই অভিযোগ করুকনা কেনো প্রশাসনের কেউ আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এমতাবস্থায় তানিয়া দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ ছোট ছোট দুইটি কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অন্যদিকে চরিত্রহীন পুলিশ সদস্য স্বামী ফরিদ বিবেক বুদ্ধির মাথা খেয়ে, একাধিক সুন্দরী মেয়েদেরকে নিয়ে ফুর্তি করে তার সরকারি বেতনের টাকাগুলো উড়াতে থাকে। বর্তমানে তানিয়া বাচ্চাদের মুখে দু-বেলা দু-মুঠো খাবার তুলে দেয়ার মতো সমর্থ নাই তার। অন্যদিকে অর্থাভাবে সে প্রতারক স্বামী ফরিদের বিরুদ্ধে নতুন কোন মামলা করতে না পেরে, ভোলা লিগ্যেল এইড আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করে। অন্যদিকে সম্প্রতি চতুর স্বামী ফরিদ স্ত্রী তানিয়াকে এক তরফা দুই বারে দুইটি তালাক প্রদান করে। কিন্তু একটি তালাক নামায়ও তানিয়া স্বাক্ষর করেনি। অভিযোগে তানিয়া আরো জানান, তালাকনামাগুলো প্রদানের পর থেকে তানিয়ার বসত ঘরে স্বামী ফরিদ তার লোকজন দিয়ে রাতের বেলায় ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জনাগেছে, ফরিদ যৌতুক ও পরকীয়া সুন্দরীদের নেশায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভন্ন কৌশলে স্ত্রী তানিয়াকে স্বামীর শারীরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছে। অন্যদিকে তানিয়া দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ ছোট ছোট দুইটি কন্যা সন্তান নিয়ে অর্থাভাবে, অনাহারে, অর্থাহারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এমতাবস্থায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, ভূক্তভোগী তানিয়া ও তার পরিবার।