ভোলা প্রতিনিধি!! ভোলায় স্বামীর নামে যৌতুক মামলা করায় জামিন পেয়ে স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড স্বামী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্ত্রী মুসফিকা নাজনীন ও তার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, ভোলা পৌরসভার (কালীবাড়ি) রোড ৩নং ওয়ার্ডের হোসেন আহাম্মদের ছেলে হাসনাইন আহাম্মদের সাথে প্রায় ৩ মাস আগে বিয়ে হয় একই এলাকার মৃত মিছির আহাম্মেদের মেয়ে মুসফিকা নাজনীনের সাথে। বিয়ের পর উভয়ের দাম্পত্য জীবন কিছু দিন ভালো কাটলেও পরবর্তিতে পরবিত্তুলোভী স্বামী হাসনাইন মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে স্ত্রী মুসফিকার কাছে। এমতাবস্থায় নববধু মুসফিকা স্বামীকে অতি ভালোবেসে ও তার সাথে নিরাপদে সংসার করার আশায় নগদ টাকাও স্বর্ণালঙ্কার তুলে দেয় যৌতুক লোভী স্বামীর হাতে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি স্বামী হাসনাইন ও তার পরিবার। কিছুদিন পূর্বে ফের স্ত্রী মুসফিকার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে স্বামী হাসনাইন। স্ত্রী মুসফিকা বার বার এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো পাষন্ড স্বামী হাসনাইন। পরবর্তিতে কোন উপায় অন্ত না পেয়ে গত ২৩/১১/২৩ ইং তারিখে স্ত্রী মুসফিকা বাদী হয়ে আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মহামান্য আদালত আসামী হাসনাইনের উপর ওয়ারেন্টের আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু গত ২৭/১১/২৩ ইং তারিখে আসামী হাসনাইন গংরা আদালতে হাজির হলে, আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেণ। এ জামিন পেয়ে স্বামী হাসনাইন ও তার পরিবারের লোকজন মুসফিকার উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মড়িয়া হয়ে ওঠে। পরবর্তিতে ওই দিনই কালীবিড়ি রোড ফাতেমা মেমোরিয়ালের সামনে হাসনাইনের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজন ও বহিরাগত লোকজন মামলার বাদী মুসফিকার উপর বেপরোয়া হামলা চালায়। বর্তমানে স্ত্রী মুসফিকা ভোলা সদর হাসপাতালের ৭নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ভূক্তভোগী স্ত্রী মুসফিকা ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাসনাইন গংদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে।