স্টাফ রিপোর্টার – মোঃ জাকির হোসেন অফিস সহকারী পদে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদে ১০ বছর যাবৎ কর্মরত আছেন। তিনি ২০১৪ ইং সালের ২২ ডিসেম্বর সদর উপজেলায় অফিস সহকারী পদে যোগদান করেন। যদিও নিয়ম অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তিন বছরের বেশি সময় একই কর্মস্থলে থাকতে পারেন না।
শুধু তাই নয় ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি মতো এই অফিস সহকারী জাকিরের বদলির আদেশ হলেও স্থান ত্যাগ করেননি। তার সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তিনি আছেন বহাল তবিয়তে।
একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন ডালপালা মেলেছে। অনেকেই বলছেন সদরে কী এত মধু যে চেয়ার আঁকড়ে রাখতে বদলির আদেশকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়! তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশেষ করে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে সদর উপজেলায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, যা দুদক তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন এক কর্মস্থলে থাকায় জাকির হোসেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলেছেন।
অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। স্থানীয় অদৃশ্য শক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গড়ে তুলেছেন একচেটিয়া রাজত্ব। তাকে ম্যানেজ করা ছাড়া সদর উপজেলায় কোন কাজ পাওয়া যায় না। পুরো সদর উপজেলা তার কাছে জিম্মি। এই অফিস সহকারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহকারী সুজন এর মাধ্যমে লাখ, লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন গত৫ আগস্ট এর আগে।
তাকে কেউ বদলি করানোর ক্ষমতা রাখে না উল্লেখ করে জাকির প্রায়ই দম্ভোক্তি করেন বলে জানিয়েছেন তার একাধিক সহকর্মী। সাধারণ জনগণ তাকে দ্রুত বদলি করার জন্য উদ্বর্তন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।