প্রথম বাংলা – এবার সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জনগণসহ সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২ ৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতা সম্পর্কে সচেতন ও উদীপ্ত করে তাদেরকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো র অন্যতম হলো শিক্ষা।
তিনি বলেন,দেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ারও হচ্ছে শিক্ষা নিরক্ষরতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারা শিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।মায়ের ভাষায় সাক্ষ রতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু,কিশোর ও যুবদের যোগাযো গ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এ সময় ড. ইউনূস বলেন, বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ,সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে। আমা দের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনমান,দেশের উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত হবে এবছরের সাক্ষরতা দিবসের প্রতি পাদ্য তা অর্জনের দিকনির্দেশ করে।
তিনি বলেন, জাতি গঠনের প্রধান বাহন শিক্ষা আর শিক্ষার প্রথম সোপান সাক্ষরতা। আশা করি, সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সদা সচেষ্ট থাকবে। এজন্য আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন: লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টা ন্ডিং এন্ড পিচ, যা বাংলায় মূলভাব ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার : পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। সূত্র: বাসস