সোহেল রানা
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মাদক ও ক্যাসিনো জুয়ায় আসক্ত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। ধ্বংসের পথে শিক্ষার্থী তরুন প্রজন্মের নেতৃত্ব ও যুবসমাজ সহ দিনমজুর চাকুরিজীবী মানুষগুলো।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিটি বাজারের অলিগলি চায়ের দোকান সহ তরুণ ও যুবকদের পকেটে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ও গাঁজা। নেশায় আসক্ত একশ্রেনীর তরুণ শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মাদকের রমরমা বানিজ্য পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হঠাৎ বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে ভদ্রবেশী মুখোশের আড়ালে বড় বড় মাদক কারবারির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলার মিটিং ও বাসস্ট্যান্ডে সচেতন নাগরিক সমাজের মানববন্ধনে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বললেও। বাস্তবে কোনো প্রকার অভিযান নেই বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের। এভাবে চলতে থাকলে বাকেরগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে মাদক কারবারির সংখ্যা দিনদিন বেড়ে যাবে।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সচেতন মহলের বিশেষ অনুরোধ, মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজ ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষকে রক্ষা করার স্বার্থে। অতি দ্রুত মাদক বিরোধী কঠোর অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
#ক্যাসিনো_জুয়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার তরুণ যুবক ও বৃদ্ধা শিক্ষিত এবং দিনমজুর সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের মোবাইল চেকিং করলে দেখা যাবে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সাথে জড়িত। অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ায় আসক্ত হয়ে বিভিন্ন পরিবারের অভাব অনাটন ও ঝগড়া বিবাদ হাতাহাতি দিনদিন বেড়েই চলেছে। ক্যাসিনো জুয়া ও মাদক সেবনের টাকা যোগাতে দিনদিন চুরি ডাকাতি চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে সমাজের একশ্রেনীর মানুষ। বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অপরাধ দমনের প্রধান মিশন হওয়া উচিত মাদক বিরোধী অভিযান ও ক্যাসিনো জুয়ার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, মাদক ব্যবসায়ি ও ক্যাসিনো জুয়ার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি চলছে। অতিদ্রুত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ও অনলাইন জুয়া নির্মূল করার লক্ষ্যে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।