স্টাফ রিপোর্টার – ময়মনসিংহ (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের যান্ত্রিক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ বছর একই কর্মস্থলে থাকার সুবাধে ভয়াবহ অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় তার বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের তারিখ গত ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী এন্ট্রি করা থাকলেও সুত্র মতে তিনি প্রায় বিগত ২০ বছর একই কর্মস্থলে আছেন। করেকবার বদলীর অর্ডার হলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে বদলির অর্ডার বাতিল করিয়া ময়মনসিংহে চাকুরী করছেন। এবং তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় থাকার বিধান নেই। অথচ ময়মনসিংহের এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী যান্ত্রিক মোশাররফ হোসেন কোন ক্ষমতাবলে একই কর্মস্থলে দীর্ঘ বছর চাকরি করছেন তা নিয়েও আলোচনা ও সমালোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এই প্রকৌশলী । বেনামি ঠিকাদারি ব্যবস্যা সাথে জড়িত রয়েছে। দীর্ঘ দিন একই কর্মস্থলে চাকরির সুবাধে টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িয়ে পরেছেন এই প্রকৌশলী। নিজের ইচ্ছামাফিক চালাচ্ছেন দাপ্তরিক কার্যক্রম। রাজস্ব আয়ে রয়েছে গড়মিল।
দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পদ গড়ে তোলেন।
সুত্র জানিয়েছে- উপসহকারী প্রকৌশলী যান্ত্রিক মোশাররফ হোসেন এলজিইডির বিভিন্ন গাড়ি ও রোলার নষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও, ভুয়া বিল ও ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ।
সূত্রে জানা যায়, উপসহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন একই অফিসে দীর্ঘ বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে থাকায় নানা অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। বছরের পর বছর এলজিইডির বিভিন্ন যন্ত্রের মেরামতের নামে ভূয়া ভাউচার বিল ও তেল চুরি করে অবৈধ উপায়ে অর্থ আত্মসাৎ ও এলজিইডির নানান যন্ত্রাংশ স্ক্র্যাপ হিসেবে বাইরে পাচার করে সরকারি অর্থ লোপাট করে আসছে উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোশাররফ হোসেন। সুত্র জানিয়েছে এসব কাজ ময়মনসিংহে করতে সুবিধা বিধায় বদলী হলেও রহস্য জনক ভাবে ময়মনসিংহেই চাকুরী করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির এক কর্মচারী জানান, যান্ত্রিক বিভাগকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সহায়তায় নানা কৌশল অবলম্বন করে টিকে থাকেন। একবার সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে, তিনি বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং বড় সাংবাদিকদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের ভয় দেখান এবং আইসিটি মামলার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের থামিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
দুর্নীতিতে বেপরোয়া এই কর্মকর্তা ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ এবং এলজিইডির যান্ত্রিক প্রকৌশলীর দায়িত্ব নিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরির মাধ্যমে দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে মতামত জানতে উপসহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।