স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারকে রহমান দলীয় নেতাকর্মীদরে চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেয়ার পরেও বরিশালে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে মুলাদী পৌর যুবদলের আহবায়ক ঢালী রফকিুল ইসলামরে বিরুদ্ধে। এমনকি চাঁদা নেয়ার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে মুলাদী জুড়ে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন মুলাদী পৌর যুবদলের আহবায়ক ঢালী রফিকুল ইসলাম। সম্প্রতি এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবী করনে। পরে ওই ঠিকাদারের কাগজ আটকে জোড়পূর্বক তার কাছ থেকে ৩লক্ষ টাকা নেয় রফকিুল ইসলাম। ভিডিওতে স্পস্টভাবে টাকা নেয়ার বিষয়টি দেখা যায়।
শুধু তাই নয়, র্সবশেষ মুলাদী বাজারের ইজারা পায় যুবদল নেতা রফিক ঢালীর ভাইয়ের ছেলে মিলন। এরপর থেকে জোড় পূর্বক বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো খাজনা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাজারের এক কামার এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের আমলে জোরর্পূবক আমাদের প্রতিটি কামারের দোকান থেকে প্রতি সপ্তাহে খাজনার নামে ৫শত টাকা নিতো।
৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পরে আমরা উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে অবগতি করলে তিনি খাজনা মৌকুফ করে দেন। বর্তমানে নতুন বাংলা বছরের শুরুতে ইজারাদারগণ আমাদের নিকট পূনরায় খাজনা দাবি করিতেছে। এই বিষয় র্পূবে বাজার কমিটিদের অবগত করিলেও কোন সুফল পাওয়া যায় নাই।অভিযোগ রয়েছে, যুবদল নেতা রফিক আওয়ামী সরকারের সময়ে মুলাদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা শরিকুজ্জামান রুবেলের সেল্টারে থাকতেন। এমনকি বিএনপির নেতা কর্মীরা বিগত সরকারের আমলে হামলা ও মামলায় জরজরিত।
সেই সময় এই যুবদল নেতা রফিক বিদেশে চলে যান। দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশের পরিবেশ বিএনপির অনুুকুলে আসলে তিনি আবার দেশে ফিরে আসেন। দেশে আসার পরেই রহস্যজনক ভাবে মুলাদী পৌরযুবদলের গুরুত্বর্পূন পদ ভাগিয়ে নেয় রফিক। তার ইশারায় বর্তমানে মুলাদীর ঠিকাদারী কাজ নিয়ন্ত্রণ হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৫ আগষ্টের পরে মুলাদীর ইন্টারনেট ব্যবসাও নিয়ন্ত্রনে নেয়ার অভিযোগ ওঠ এই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। তাই দ্রুত এই যুবদল নেতার বরিুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন মুলাদী বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অভিযোগের বিষয় জানতে ঢালি রফিকুল ইসলামকে একাধীক বার কল করা হলেও সে কল রিসিভ করেনি।