নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল আদালতের গেটে দুই সাংবাদিককে মারধর ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মামলায় মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারন সম্পাদক মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাগর হোসাইন খানকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই দিন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির খালিদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাওলাদার মাসুম সংবাদকর্মীদের জানান, একটি কুচক্রি মহল আমাকে বিতর্কিত করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আদালত প্রাঙ্গণে সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রকৃতপক্ষে যারা অপরাধী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। যদি আমি সিসিটিভি ফুটেজে থাকি বা কেহ আমাকে সেখানে উপস্থিত দেখে থাকেন তাহলে যেই শাস্তি দেয়া হবে আমি তা মাথা পেতে মেনে নিব। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই সাংবাদিক ভাইদেরকে চিনিনা বা কখনো দেখিনি।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কোর্ট কম্পাউন্ডের সামনে সাংবাদিকদের মারধর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। যদি নিরপরাধ কেহ আসামি হয় তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে গেলে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন স্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুজ্জামানের ওপর অতর্কীত হামলা করে।
তাদের মারধর করাসহ, ক্যামেরা, দুটি মোবাইল ভাঙচুর করা এবং নগদ টাকা পয়সা লুটে নেয় হামলাকারীরা। পাশাপাশি আদালতের প্রধান গেটেই সাংবাদিকদের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে- মহানগর বিএনপি, জেলা বিএনপি (দক্ষিণ), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন।