নিউজ ডেক্স:
মানষিক রোগী হলেন মোহাম্মদ স্বপন (২৫) সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিন মান্দারী গ্রামের টিনের বাড়ির আবুল খায়েরের ছেলে ও র্যাব সদস্য শিহাব হোসেন সাইফুলের ছোট ভাই। ভুল চিকিৎসার বলি হন মো:হোসেন (৬৫) একই গ্রামের বডের বাড়ির মৃত আমিন উল্ল্যার ছেলে। তাদের অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাদীন আছে তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্বপনের বিগত এক সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, যাকে সামনে পায় তাকেই আগাত করে।কখনও চুরি দিয়ে, আবার কখনও ব্লেট দিয়ে।
এতে অনেকেই আহত হয়েছেন, এর আগে রামগঞ্জ গিয়ে মানুষের সাথে খারাপ আচরন করে, মানুষকে দেখলেই মারতে যায়, স্থানীয়রা ডাকাত ভেবে তাকে মারধর করে, পরে খবর পেয়ে তার বড় ভাই শিহাব হোসেন সাইফুল প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।পরে তাকে ঘরে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়।
শনিবার সকালে স্বপন ধারালো ছুরি দিয়ে যাকে সামনে পায় তাকেই আগাত করে এবং ব্লেড দিয়ে আঁকতে যায়।পরে গ্রামবাসীরা অনেক চেষ্টা করে তাকে আটক করে। পরে পল্লী চিকিৎসক হারুনর রশীদকে বিষয়টি জানায় এবং খুব দ্রুত আসতে বলে, চিকিৎসক হারুনর রশীদ কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে এসে ইনজেকশন পুশ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে তার ঘুম চলে আসে, পরে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করেন, ঘুম ভাঙ্গলে সে আবার মানুষকে মারতে যাবে তখন কি হবে।
চিকিৎসক হারুন তাদেরকে আস্বস্ত করে বলেন অন্তত ২ ঘন্টার আগে তার ঘুম ভাঙ্গবেনা, আর ঘুম ভাঙ্গলেও সমস্যা নাই সে আগের মতো এরকম আর করবে না, শুধু ওষুধ গুলো এনে ঠিক মতো খাওয়ান আর ঘুম ভাঙ্গলে বাজারে আমার দোকানে নিয়ে আসিয়েন ২ দিনেও তার এমন সমস্যা দেখা দিবে না।
কিন্তু ইনজেকশন দেওয়ার ৩০ মিনিট না যেতেই স্বপন আবারও পরিবারের সকলের অগোচরে কৌশলে সে ঘর থেকে ধারালো ছুরি নিয়ে বের হয়ে যায়, যাকে সামনে পায় তাকেই ছুরি নিয়ে মারতে যায়, পরে স্বপনের চাচাতো ভাই নাছির, রিপন, জাহাঙ্গীর সহ গ্রামের লোকজন তার হাত থেকে চুরি টা নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে এক পর্যায়ে হোসেন নামের ঐ ব্যাক্তি তার হাত থেকে চুরি টা নেওয়ার চেষ্টা করে, এলাকার লোকজন হোসেনকে তার কাছে না যেতে বারন করে।
হাতাহাতির এক পর্যায়ে স্বপনের হাতে থাকা চুরি হোসেনের পেটে ঢুকিয়ে দেয় পরে স্থানীয়রা হোসেনকে উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়, বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ-তে আছে।
হোসেনকে আগাত করার পর স্বপন দিঘলী বাজারে গিয়ে পথচারীদের উপর ব্লেট দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার স্থলে সাধারণ জনগণ স্বপনকে পিটিয়ে হাত পাঁ ভেঙে দেয়। বর্তমানে স্বপন ঢাকার একটি হসপিটালে চিকিৎসাদিন আছে। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পল্লী চিকিৎসক হারুনর রশীদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ইনজেকশন পুশ করছি এটা সত্যি কিন্তু আমি কোন সময় কিংবা কতক্ষণ পরে ঘুম ভাঙ্গবে দুই দিনেও কিছু হবে না এসব বলি নাই, এটা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, কোথায় কি হয়েছে এখন আমার উপর দায় চাপাতে চাইছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
স্থানীয়রা জানান, পল্লী চিকিৎসকদের হাতে গ্রামের গরীব রোগীরা প্রায় প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন। চিকিৎসক হারুনর রশীদ তার আর্থিক সার্থ হাসিলের জন্য সিরিয়াস রোগী হওয়ার পরেও স্বপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার না করে, পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বাড়িতে রেখে দিতে বলে। তার ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শের কারণে দুইটি জীবন ঝুঁকিতে আছে। স্থানীয়রা এই ধরনের চিকিৎসকের হাত থেকে পরিত্রাণ ছাই।
লক্ষীপুর জেলার জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনছি, অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবো তিনি আরও বলেন ভুক্তভোগী পরিবারকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে , পরে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।