বরিশাল প্রতিনিধি::: বরিশাল সন্ধ্যা নামার সাথে-সাথেই হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। শহরে গড়ে ওঠা একাধিক আবাসিক হোটেলের নামে পতিতা রেখে দেহ ব্যবসা চলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। যার ফলে দিনদিন আবাসিক হোটেলগুলিতে যৌনকর্মীদের আনাগোনা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিভিন্ন সুত্রগুলো জানিয়েছেন, বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বাণিজ্যিক এরিয়া পোর্ট রোড, বিউটি রোড গলী, হাজী মহসিন মার্কেট পর্যন্ত বিভিন্ন নামে-বেনামে একাধিক আবাসিক হোটেল খুলে স্বাধীন মত পতিতা ও মাদক ব্যবসা করছে একটি চক্র। এই চক্রের মূলহোতা মনির,আলামিন, সুমন, আজিজ, ফয়সাল শিপন সহ বেশ কয়েকজন কতিপয় হোটেল ব্যবসায়ী।
শুক্রবার রাত আনুমানিক (৮.০০) পরে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা, পোর্ট রোড বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশে গড়ে ওঠা আবাসিক হোটেলে গিয়ে দেখা মিলে মাদক ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। গণমাধ্যম কর্মীরা হোটেলে যৌনকর্মীদের ও মাদক ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি দেখে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান এর সরকারি ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।
সূত্র বলে, বরিশালের সর্ব বৃহত্তম পাইকারি বাজার পোর্ট রোড, সন্ধ্যা নামার সাথে-সাথেই সেখানে চলে হাজারো লোকের আনাগোনা সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এই চক্রটি এই অবৈধ পতিতা ও মাদক ব্যবসা চলছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়। এতে করে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ একাধিক ভুক্তভোগী বলছেন, সন্ধার পরে পোর্ট রোড এরিয়াতে প্রবেশ করতে গেলে আবাসিক হোটেল এর নামে পতিতা ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভিতর প্রতিযোগিতা করে রাস্তা থেকে যাওয়া যে কোন মানুষকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে হোটেলে নেওয়ার জন্য টানাটানি করেন। না যেতে চাইলে শুরু উগ্র-আচরন প্রতিবাদ করতে গেলে হতে হয় হামলার শিকার। এমনকি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লজ্জায় এই রাস্তা থেকে যাওয়া বন্ধ করে দিতে বাদ্য হচ্ছে অনেকেই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পতিতা ব্যবসায়ীরা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি, দাম্ভিকথার সাথে হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রশাসন হতে যা যা ম্যানেজ করা লাগে সবই আমরা করি। নাম প্রকাশ না করায় একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের বিট বাণিজ্যের মাধ্যমে চলছে এই পতিতা ব্যবসা তারা দেখেও না দেখার বান করেন। দিনদিন এই ব্যবসা আরো জমজমাট হয়ে উঠেছে। তাই প্রতিনিয়ত আবাসিক হোটেলগুলিতে অভিযান চালানো হলে এই ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
অতিবিলম্বে আবাসিক হোটেল গুলোতে অনৈতিক পতিতা ও মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ। এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অবস্থায় পুলিশ কোথায় অভিযান পরিচালনা করলেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যদি সঠিক তথ্য থাকে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।